বিপিএল মাতিয়ে লাইমলাইটে এসেছিলেন। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতেও বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। বিপিএলের পরপর ঘরের মাঠে শুরু হওয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই স্কোয়াডে জায়গা করে নেন টাইগার এই সেনসেশন।

মুনিম শাহরিয়ারের সঙ্গে অভিষেক হওয়া আরেক ক্রিকেটার ইয়াসির আলি রাব্বিকে অভিষেকের জন্য প্রায় আড়াই বছরের বেশি অপেক্ষা করতে হলেও তেমন কিছু ঘটেনি মুনিমের ক্ষেত্রে। প্রথম ম্যাচ থেকেই একাদশে আছেন। তবে তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে উঠলেও তার ছিটেফোটাও পূরণ করতে পারেননি।

মুনিম শাহরিয়ার আলাদা করে নিজেকে চিনিয়েছিলেন তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ ফর্মে ছিলেন। চার-ছক্কার মুন্সিয়ানায় ফিল্ডারদের সারাক্ষণই তটস্থ রাখতেন।

তবে বিপিএল আর জাতীয় দল যে এক কথা নয়, সেটি হয়তো আবারও প্রমাণ করলেন তিনি। চলতি সিরিজে তার ব্যাটিংয়ের দিকে মনোযোগ দিলে দেখা যাবে এক মুহূর্তের জন্যও স্বস্তিতে ছিলেন না তরুণ এ ক্রিকেটার। ভুল শট খেলতে গিয়ে কিংবা প্রতি বলেই বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে পরাস্ত হচ্ছেন।

প্রথম ম্যাচে মন্থর ব্যাটিংয়ে ১৮ বলে মাত্র ১৭ রান করার পর আজ আরও হতশ্রী দশা। প্রথম ওভারে ফজলহক ফারুকীর বলেই যেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তার ইনসুইং আর আউটসুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে রানের খাতা খোলার সুযোগই পাননি।

প্রথম ওভারটা কোনো রকমে পার পেয়ে গেলেও দ্বিতীয় ওভারে আর সামলাতে পারলেন না। মোহাম্মদ নবীর বলে তেড়েফুড়ে খেলতে গিয়ে উল্টো উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে বলের মেধাগুণ বিচার না করেই শট খেলতে গিয়ে হারান উইকেট। আগের দিন ১৭ করতে পারলেও আজ করলেন ১০ বলে মাত্র ৪ রান।

এখনো হয়তো তাকে নিয়ে বিচার-বিবেচনা করার সময় আসেনি। অভিষেকের চাপ সামলানোরও একটা বিষয় থাকে। কিন্তু টেকনিক্যাল ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। তরুণ এ প্রতিভাবান ক্রিকেটার ভবিষ্যতে নিজের জাত চেনাবেন এমন প্রত্যাশা সবারই।

 

 

কলমকথা/ বিথী